পুত্রসন্তানের নিশ্চয়তা পেতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মাথায় ঢুকানো হলো আস্ত একটি পেরেক। গর্ভবতী ওই নারীর বিশ্বাস ছিল, মাথায় পেরেক ঢোকালে তার কোলজুড়ে আসবে ফুটফুটে পুত্র সন্তান। তাই একবারও না ভেবে মাথায় পেরেক ঢুকিয়ে দেন ওই নারী। ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি পাকিস্তানের পেশোয়ারে ঘটেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডন।
জানা যায়, পরপর তিনটি কন্যা সন্তান হওয়ায় আবারও সন্তান নেয়ার আসায় অন্তঃসত্ত্বা হোন ওই নারী। কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে চতুর্থ সন্তানটিও হবে কন্যা সন্তান। তাই এক ওঝার পরামর্শে পুত্র সন্তানের আশায় সোজা মাথায় পেরেক ঠুকে দেন তিনি। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই বের করা হয় সেই পেরেক। ভাগ্য সহায় হওয়ায় পেরেকটি তার ব্রেন বা মস্তিষ্কে ঢোকেনি। নাহয় এতে তার প্রাণনাশের সম্ভাবনা ছিল।
ডন সংবাদপত্রকে চিকিৎসক হায়দার সুলেমান জানান, ওই নারী তাকে বলেছেন, তার এলাকায় অন্য এক নারী মাথায় পেরেক ঠুকে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা গিয়েছিল, তার কন্যা সন্তান হবে। পেরেক ঠুকার পর তিনি পুত্র সন্তান লাভ করেন। তাই তিনিও একইরকমভাবে মাথায় পেরেক ঠুকেন।
এদিকে, প্রতিবেদনে জানা যায়, হাসপাতালের কর্মীরা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই নারীর স্বামী তাকে হুমকি দিয়েছিলেন, যদি এবারও কন্যা সন্তান হয়, তাহলে সে স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবে। তবে, ওই নারীর মাথায় পেরেকটি কে ঠুকেছিল, তা এখনো জানা যায়নি। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, বাড়িতেই ওই নারীর মাথায় পেরেক ঠুকা হয়। পরে বাসার লোকজন পেরেকটি বের করতে না পারলে গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে দম্পতিরা, বিশেষ করে পুরুষরা সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষার কারণে পুত্র সন্তান চান। এই অন্ধ বিশ্বাস থেকে তারা আজও বেরিয়ে আসতে পারেননি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।